ফালগুনী রাতে; দেখেছি তারে অন্ধকারের সাথে। যখন যুগল পেঁচা সবুজ চোখ মেলে আধাঁরে বিস্ময় খোঁজে সৃষ্টির আড়ালে। দেখি নীলাভ দুটি চোখ তার,স্বচ্ছ জলের ন্যায় শরীর চুপে হাওয়া এসে বলে গেল ,- “এই মানবী নয় এ পৃথিবীর।” অত:পর স্বচ্ছ তার জলের মত শরীরের রহস্য জানতেই পৃথিবীতে এসেছিল প্রথম ভোরে ......... কত আগে তারে ভালবেসেছিলাম আজ তার তা মনে নেই। গোপনে গোপনে কত অনুভূতি জন্মেছিল তোমার জন্য! মনে নেই। কবে খেলার ছলে আধাঁরের বুক চিরে এক টুকরো আলো বের করে এনেছিলাম ! কোন নারীর পবিত্র স্পর্শে ঘুম গিয়েছিল ভেঙে হেমন্ত নক্ষত্রের রাতে অনেক পুরনো সে রাত। সে রাতে পূর্নিমা ছিল কিনা . . . . . . . . . মনে নেই। তবু সেইসব দিনরাত্রির ঘ্রান লেগে আছে বুকে যেইসব দিন তার মুখ দেখা হত ............. ঝরে গেছে সময় ঘাস মাটির উপর সুর্যাস্তের শেষ রং মুছে দিয়ে শেষ পাখি ফিরে গেছে নীড়ে। হয়ত সে ও আমাকে ভালোবেসেছিল; আজ ও বাসে ! তবু কেউ আমায় মনে রখেনি। শেষ বিকেলের নরম রোদের মত তার দেহের ঘ্রাণও মুছে গেছে এ প্রাণ থেকে ।।